বিবরণ
সন্ধ্যার পর বাসার ছাদে উঠে থমকে গেল ইরম। ছাদে ওর ছোট্ট ফুলবাগান। বাগানে ফুটে আছে নানান রঙের ফুল। কিন্তু ফুলে কোনো সুবাস নেই। ভারি আশ্চর্য ব্যাপার!
ঠিক সে সময় ওর কানে কিছু একটা কান্নার আওয়াজ ভেসে এল। আচমকা কান্নার শব্দটা শুনে চমকে উঠল ইরম। কোথাও কেউ নেই। শুধু ফুটবলের মতো গোল একটা মাথা শূন্যে ভেসে আছে। মাথা ভরা রেশমি চুল। জ্বলজ্বলে চোখ। লম্বা জিভ। চোখ ও জিভ থেকে লাল রঙের আলো বের হচ্ছে। এই অদ্ভুদর্শন জীবটি হলো একজন ভূত। মুণ্ডুভূত! ফুলের সুবাস তার প্রিয় খাদ্য। ফুলের সুবাস খেতে এসে গোলাপ গাছের কাঁটায় বেচারার চুলগুলো আটকে গেছে। কিছুতেই খুলতে পারছে না। ওর এখন মহাবিপদ!
এমনি বিপদ থেকে ইরম ওকে বাঁচিয়ে দিলো। পরে দুজন বন্ধু হয়ে গেল। সেই থেকে মুণ্ডুভূত ইরমের সব কথা শুনত। সব কাজ করে দিত। ও যা বলত তা-ই সে করে দিত। এমন একজন মহান বন্ধু পাওয়া নিশ্চয়ই কম ভাগ্যের কথা নয়। উপন্যাসের ছোট্ট বন্ধু ইরমও একজন সৌভাগ্যবান। ইরমের একমাত্র ছোটো বোন নুহা। নুহাকে সে অনেক ভালোবাসে। তাই নুহাকে একটু আনন্দ দেওয়ার জন্য তার চেষ্টার যেন শেষ নেই। প্রিয় ছোটো বোনটির জন্মদিনে ইরম আচানক সব ঘটনা ঘটিয়ে নুহা ও তার বন্ধুবান্ধবকে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। এমনি মজাদার অনেক ঘটনা নিয়ে রচিত জসীম আল ফাহিম-এর শিশু-কিশোর ভৌতিক উপন্যাস মুণ্ডভূত। বইটি ক্ষুদে পাঠককে প্রাণিত করুক—এই প্রত্যাশা।