বিবরণ
তিনতলায় আসতেই দুপ করে বাতি নিভে গেল। অন্ধকার ছেঁকে ধরল আমাদের।
‘ইসতি।’ ফিসফিস করল নারীকণ্ঠ।
‘কে? কে?’ ভয়ে আর্তনাদ করে উঠল ইসতিয়াক।
‘আমাকে চিনতে পারছ না। আমি চৈতি।’
‘চৈতি! না না। সে কী করে হয়। তাকে তো আমি এই সিঁড়ি থেকেই ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দিয়েছি। মারা গেছে সে।’
তার গলায় ভয় স্পষ্ট।
‘আমাকে মেরে ফেললে ইসতি।’
‘আমি...আমি আসলে প্রস্তুত ছিলাম না।’
‘কীসের জন্য প্রস্তুত ছিলে না।’
‘আমি তখন বেকার ছিলাম।’
‘তাই বলে, আমাকে মেরে ফেলতে হবে। মেরে ফেলতে হবে আমার পেটের বাচ্চাকেও। সে তো কোন দোষ করেনি।’
‘বাচ্চা! বাচ্চা এল কীভাবে?’ ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল ইসতিয়াক।
‘তুমি জানো না, কার বাচ্চা? এতই অবুঝ তুমি।’
‘না। এ সত্যি নয়।’
‘সত্যি।’
‘বল চৈতি, এ সত্যি নয়।’ কেঁদেই ফেলল ইসতিয়াক।
‘শয়তান। ওটা আমাদেরই বাচ্চা।’ হিসহিস করে উঠল নারী কণ্ঠ।
টের পেলাম, আমার পাশে থাকা ইসতিয়াক হঠাৎ শূন্যে উঠে গেল।
পরমুহূর্তে তার আর্তনাদ নিচে মিলিয়ে গেল।